ভর্তি পরীক্ষা
হিমাচলে ৪ বছরে তুষার চিতার সংখ্যা বেড়েছে ৬২ শতাংশ

সংগৃহীত
বড় বিড়াল প্রজাতির বিপন্ন প্রাণী তুষার চিতার সংখ্যা গত ৪ বছরে ৬২ শতাংশ বেড়েছে ভারতের হিমাচল রাজ্যে। রাজ্য সরকারের বনবিভাগের বরাত দিয়ে শুক্রবার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে এনডিটিভি।
বনবিভাগের তথ্য অনুসারে, ২০২১ সালে রাজ্যে তুষারচিতার সংখ্যা ছিল ৫১টি। সদ্য শেষ হওয়া এক জরিপে জানা গেছে, বর্তমানে এই সংখ্যা বেড়ে পৌঁছেছে ৮৩টিতে। অর্থাৎ ২০২১ সাল থেকে ২০২৫ সালের মধ্যে শতকরা হিসেবে তুষার চিতার সংখ্যা বেড়েছে ৬২ শতাংশ।
বৃহৎ বিড়াল প্রজাতির অন্যতম সদস্য তুষার চিতা হিম পার্বত্য অঞ্চলে বসবাসের জন্য বিশেষভাবে অভিযোজিত। সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে ৩ হাজার ৪০০ থেকে ৯ হাজার ৪০০ ফুট ওপরে তুষারাচ্ছাদিত পর্বতের চুড়ায় বসবাস করে এই প্রাণিটি। লাজুক স্বভাব এবং দুর্গম পার্বত্য এলাকা বসবাস করে বলে তুষার চিতার দেখা পাওয়াও বেশ বিরল।
বৃহৎ বিড়াল প্রজাতির অন্যান্য সদস্য বাঘ, সিংহ, জাগুয়ার ও চিতাবাঘের তুলনায় আকারে ছোটো হয় তুষার চিতা; উঁচু পর্বতের বরফাচ্ছাদিত অঞ্চলে বসবাসের কারণে এদের গায়ের লোম ঘন ও দীর্ঘ হয় এবং লেজ মোটা, শক্তিশালী এবং দেহের তুলনায় দীর্ঘ হয়।
একটি পূর্ণবয়স্ক পুরুষ তুষার চিতার ওজন ২৫ থেকে ৬০ কেজি পর্যন্ত হতে পারে। মেয়ে তুষার চিতার আকার-ওজন পুরুষদের তুলনায় কম হয়।
এক সময় রাশিয়ার সাইবেরিয়ার পার্বত্য অঞ্চল, চীনের কুনলুন পার্বত্য অঞ্চল, আফগানিস্তানের হিন্দুকুশ ও পাকিস্তানের কারাকোরাম পার্বত্য অঞ্চল, তাজিকিস্তান, কাজাখস্তান, উজবেকিস্তানের পার্বত্য অঞ্চল, মঙ্গোলিয়া এবং ভারত ও নেপালের হিমালয় পার্বত্য অঞ্চলে তুষার চিতার দেখা পাওয়া যেতো। তবে বর্তমানে চীন, ভারত, নেপাল, মঙ্গোলিয়া এবং পাকিস্তানে এই প্রাণীটি টিকে আছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
হিমালয় পার্বত্য অঞ্চলে অবস্থানের কারণে ভারতের হিমাচল রাজ্যে তুষারচিতা বেশি দেখা যায়। তুষার চিতার জন্য এই রাজ্যে মোট চারটি সংরক্ষিত বনাঞ্চল বা অভয়ারণ্য রয়েছে। এগুলো হলো কিব্বের ওয়াইল্ডলাইফ স্যাংকচুয়ারি, গ্রেট হিমালয়ান ন্যাশনাল পার্ক, সেচু তুয়ান নাল্লাহ ওয়াইল্ডলাইফ স্যাংচুকয়ারি।
শক্তিশালী ওয়াইল্ডলাইফ ক্যামেরার মাধ্যমে প্রায় এক বছর ধরে জরিপ চালানোর পর তুষার চিতার সংখ্যা বৃদ্ধির এ তথ্য নিশ্চিত করেছে হিমাচল রাজ্য সরকারের বনবিভাগ।







